বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সাভারে ২২৮ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। সড়ক দুর্ঘটনা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে দশ মাইল হাইওয়ে থানা। পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ পয়দা হবে না; জবাবদিহীতা মূলক সরকার কায়েম হবে -পীর সাহেব চরমোনাই দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন সহ ৪২ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল ইসলামের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিটফোর্ডের সোহাগ হত্যা মামলার আরও দুই আসামি গ্রেফতার। আশুলিয়ায় ১২ বছরের শিশু জীবনকে অপহরণ করে গলা কেটে হত্যা, ঘাতক রব্বানী গ্রেপ্তার। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ৪ টি হত্যা ও ৫ টি হত্যার চেষ্টা সহ বিস্ফোরক মামলার আলোচিত আসামী এল এক্স খোকন গ্রেফতার। আশুলিয়ায় ৭ লিটার ৫০০ মি.লি. দেশীয় মদ সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। আশুলিয়ায় ৫১ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। আশুলিয়ায় ৫০পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

চাঁদাবাজি রোধে কঠোর অবস্থানে আশুলিয়া থানা পুলিশ, স্বস্তি ব্যবসায়ীদের মাঝে।

Coder Boss
                                             
  •   Update Time : রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
  • ৬৮k Time View  
  •                                      
                                   
                               

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দীর্ঘ দিনের চাঁদাবাজির অভিশাপ থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে আশুলিয়ার বাইপাইল বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা। চাঁদাবাজি, হামলা-পাল্টা হামলা আর মানববন্ধন-পাল্টা মানববন্ধনের এক অস্বস্তিকর অধ্যায়ের পর পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে স্বস্তি ফিরেছে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়ক এলাকায়। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে পুলিশের রীতিমতো ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন কাউন্টার গুলোতে ফিরিয়ে এনেছে স্বাভাবিক গতি, যা সাধারণ ব্যবসায়ী ও পরিবহন কাউন্টার মালিকদের মাঝে ব্যাপক স্বস্তি এনে দিয়েছে। বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবিরের একটি মাইকিং এতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। পুলিশের এমন উদ্যোগ প্রশংসার কুড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

আশুলিয়ার বাইপাইল বাস স্ট্যান্ড, যা ঢাকার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত, দীর্ঘ দিন ধরে কতিপয় চাঁদাবাজ চক্রের হাতে জিম্মি ছিলো। অভিযোগ রয়েছে, এই চক্র বাস স্ট্যান্ড ঘিরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে পরিবহন কাউন্টার, খাবার হোটেল, ক্ষুদ্র দোকানপাট এবং হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই নেমে আসতো হামলা, ভাঙচুর ও শারীরিক লাঞ্ছনার মতো ঘটনা। এমনকি, চাঁদা আদায়ের ক্ষমতা নিয়ে বিভিন্ন চক্রের মধ্যে নিজেদের মধ্যেই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যা বাইপাইল এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছিল। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছে, যা সাধারণ মানুষের মনে এক ধরনের ভীতির সঞ্চার করেছিল।

ব্যবসায়ীরা জানান, পুলিশ প্রশাসন চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে। বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে এবং চাঁদাবাজদের কোনো রকম চাঁদা না দিতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এই অবস্থান ধরে রাখতে পারলে ব্যবসার গতি স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে পাবে।

চাঁদাবাজির এই লাগামহীন দৌরাত্ম্যে এখানকার ব্যবসায়ীরা ছিলেন চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাউন্টার মালিক জানান, “চাঁদাবাজির কারণে আমাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। প্রতিদিন চাঁদা দিয়ে আমাদের লাভ তো দূরে থাক, উল্টো লোকসান গুনতে হচ্ছিল। প্রতিবাদ করলেই হামলার শিকার হতে হতো। আমরা একরকম অসহায় হয়ে পড়েছিলাম।” আরেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, “প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিতে হতো। না দিলে দোকানের সামনে এসে হুমকি-ধামকি দিতো, এমনকি দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিতো। প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো ফল পাইনি। তবে পুলিশ নিজে এসে চাঁদা আদায় বন্ধে কঠোর অবস্থানে আশা করছি ভাল কিছু হবে। তারা সকাল থেকে খোঁজ খবর নিচ্ছে। ”

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম সুমন জানান, “চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। বাইপাইল বাস স্ট্যান্ড এলাকার চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবসায়ীরা যাতে নির্ভয়ে ব্যবসা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন আমরা জনগণের সহযোগিতা চাই আপনারা সবাই যদি সহযোগিতার জন্যে এগিয়ে আসেন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। তাহলে আমাদের অপরাধী, চাঁদাবাজী,বন্ধ করতে সময় লাগবে না। আমরা কঠিন ভাবে এদের দমন করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেওয়া ঘোষনায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবীর বলছেন, ” আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবো। কেউ যদি চাঁদাবাজি করতে আসে তাহলেও আমরা সর্বোচ্চ আইন ব্যবহার করবো। কঠোর ভাবে দমন করবো।আমরা ৫ই আগস্টের আগের পুলিশ না। আমরা মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে চাই। সে জন্য যা করতে হবে করবো। তবু মানুষকে স্বস্তি দিবো। তাই আমরা অবৈধ কোন কর্মকান্ড হতে দিবো না। আমাদের কথা একটাই মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা ও জনগণের সেবা করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 dailydhakabani
themesba-lates1749691102