মোঃ রবিউল ইসলাম, সাভার উপজেলা প্রতিনিধি:
মানবিক ভালোবাসার এক নির্মম প্রতিদান
স্বামীর জীবন বাঁচাতে নিজের কিডনি দিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন স্ত্রী সাভার কলমা এলাকার টুনি আক্তার। কিন্তু সেই ভালোবাসার দাম দিতে হয়েছে অপমান ও বঞ্চনার মাধ্যমে।
ঢাকার সাভারের বাসিন্দা টুনি আক্তার ও তারেক হোসেনের সংসার শুরু হয়েছিল স্বপ্নে ভর করে। জীবনের কঠিন এক পর্যায়ে, কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হন তারেক। মৃত্যুর মুখ থেকে স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে নিজের একটি কিডনি দান করেন স্ত্রী টুনি। সফল অপারেশনের পর সুস্থ হন তারেক।
তবে ঘটনার মোড় ঘুরে যায় কিডনি প্রতিস্থাপনের কিছুদিন পরই। অভিযোগ উঠেছে, সুস্থ হওয়ার পরপরই তারেক স্ত্রী টুনিকে বাসা থেকে বের করে দেন এবং গোপনে সম্পর্ক চালিয়ে আসা তার “পরকীয়া” বান্ধবীর সঙ্গে নতুন করে সংসার শুরু করেন।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এই ঘটনাকে ‘মানবতার চরম অবমাননা’ হিসেবে দেখছেন।
এসময় টুনি বলেন:
আমি ওর জন্য জীবন বাজি রেখে কিডনি দিয়েছিলাম। অথচ ও আমাকে ঠকিয়ে এখন অন্য মেয়ের সঙ্গে সংসার করছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।
এই ঘটনায় স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা আইনি সহায়তা ও মানসিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। টুনি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন থানায় অভিযোগ সহ কোটে মামলা করেছেন। টুনি আইনের আওতায় এনে অপরাধী স্বামী কঠিন বিচারের দাবি জানান।
প্রশ্ন উঠেছে এলাকায় একজন নারীর আত্মত্যাগ কি এভাবেই উপেক্ষিত হবে? ভালোবাসার এই নির্মম পরিণতির বিচার কি সমাজ দিতে পারবে।আইনের কাছে এলাকার লোকজনের চাওয়া এরকম স্বামীর কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। যাতে করে আর কারও যেনো টুনির মতো এরকম না হয়।
উপদেষ্টা: এ্যাড. এনামুল হক এনাম সম্পাদক : মোঃ শামীম আহমেদ অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লি. এর পক্ষে কেএম সবুজ কর্তৃক প্রকাশিত। মোবাইল নং : ০১৭১৫-৬২৭৮৯৪ , ০১৭৮৪-৮৩৮৬৮০ ই-মেইল: news@dhakabani.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ