বায়েজিদ বোস্তামী থানা প্রতিনিধি:
গত ২৭/০৭/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় বাদীর বড় বোন হোসনে আরা বেগম (৩৩) ভিকটিম শিশু (৪) কে নিয়ে মুরাদপুর এলাকা কাজ করতে যায়। একই তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় ৩নং আসামী মোছাঃ রোজিনা বেগম (২১) এর সাথে মুরাদপুরে দেখা হয়। বর্ণিত ৩নং আসামী ভিকটিমের খালা হোসনে আরা কে কিছু কাপড় চোপড় কিনে দিবে বলে তার বর্তমান বাসার সামনে একটি চা দোকানে বসিয়ে রেখে ৩ নং আসামী রোজিনা বেগম ১নং আসামী রফিক ইয়াছিন (২৮) ২ নং আসামী মোঃ মিজান (৩৫) ও ৪ নং আসামী মোছাঃ রুজি আক্তার (৩০)সহ অজ্ঞাতনামা একটি সিএনজি করে বাদীর বোন ও ভিকটিম শিশুকে নিয়ে বায়েজিদ বাংলাবাজার এলাকায় যায়।
একই তারিখ বিকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শেরশাহ বাংলাবাজার আল আমিন মসজিদের দক্ষিণ পাশে জুতা দোকানের সামনে এসে ভিকটিমের খালা হোসনে আরা কে ৪নং আসামীর সাথে দাঁড় করিয়ে ১নং আসামী ভিকটিম শিশু’কে কোলে নিয়া ২ ও ৩নং আসামীসহ কাপড় কেনার নাম করে দোকানের ভিতরে যায়।
পরবর্তীতে অনেক দেরি হলে ৪নং আসামী ভিকটিমের খালাকে জানায় ১-৩নং আসামী ভিকটিম শিশুকে অপহরণ করেছে এবং মুক্তিপণ বাবদ ২৫,০০০/-টাকা চায়। বিষয়টি শুনে ভিকটিমের খালা কান্নাকাটি করে এবং তা দেখে আশপাশে লোকজন এগিয়ে আসে ৪নংআসামীকে আটক করে এবং পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে।
অপহরণের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান অপারেশন অফিসার এসআই/নিঃ নুর ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযানিক টিম গঠন করে। অভিযান টিমের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন প্রত্যান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৮/০৭/২০২৫ ইং তারিখ সকাল ১১:৩০ ঘটিকার সময় ১, ২ ও ৩নং আসামীদের আটক করেন এবং ৩নং আসামী রোজিনা বেগম এর হেফাজত হতে ভিকটিম শিশু’কে উদ্ধার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা মুক্তিপনের দাবীতে ভিকটিম শিশু’কে অপহরন করে মর্মে স্বীকার করে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।