নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ বাদ আসর, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের সরকারী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।মিছিলটি বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান বলেন তথাকথিত জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন ও তাদের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন সময় এমন কার্যক্রম চালিয়েছে এবং এমন অবস্থান নিয়েছে, যা মুসলিম বিশ্ব ও ইসলামী মূল্যবোধের জন্য স্পষ্ট হুমকি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা, যিনি নিজেই একজন ঘোষিত সমকামী, তার পার্টনারসহ বাংলাদেশে আসতে চান। এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয় নয়—এর পেছনে রয়েছে একটি সুপরিকল্পিত সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, যার উদ্দেশ্য—ইসলামি সমাজ কাঠামোতে পশ্চিমা মূল্যবোধের দৃষ্টিকোণ থেকে হস্তক্ষেপ। সমতা ও নারী স্বাধীনতার নামে ইসলামি ন্যায্য উত্তরাধিকার ব্যবস্থা ও পরিবারব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রচার চালানো। সমকামীতাকে ‘ব্যক্তিস্বাধীনতা’র মোড়কে সমাজে বৈধ ও মর্যাদাসম্পন্ন রূপে প্রতিষ্ঠিত করা। তথাকথিত সংখ্যালঘু অধিকার, পাহাড়ি ইস্যু ও বিচ্ছিন্নতাবাদকে মানবাধিকার আড়ালে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা।ইসলামপন্থীদের রাজনীতিকে ‘জঙ্গিবাদ’ ‘সাম্প্রদায়িকতা’র অপবাদ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা। তাই এটি মানবাধিকার নয়, বরং জাতি ধ্বংসের কমিশন।
তিনি বলেন, পশ্চিমাদের সামরিক ও রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষায় এসব এজেন্সির ‘মানবিকতা’ বারবার সক্রিয় হলেও মুসলিম নির্যাতনের ক্ষেত্রগুলোতে তারা থাকে নীরব দর্শক। সিরিয়া, ফিলিস্তিন, চীন, মিয়ানমার, কাশ্মীরসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের অবস্থান কোথায়? কেনো তারা খ্রিস্টান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য উচ্চকণ্ঠ, কিন্তু মুসলিমদের স্বাধীনতার দাবিকে চাপা দিয়ে রাখে?
তিনি আরো বলেন, মানবাধিকার মানে কি কেবল পশ্চিমা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা? মানবাধিকার মানে কি কেবল ইসলামি মূল্যবোধকে চাপা দেওয়া এবং সমাজকে আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে পরিচালনা করা?এই ভণ্ডামি আর চলবে না। আমরা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই সংস্কৃতি-সন্ত্রাসের রুখে দিব। আমরা বিশ্বাস করি—এদেশের জনগণ ধর্মপ্রাণ, তারা এজেন্ডা বুঝে গেছে। এদেশে কোনো সমকামী সংস্কৃতি, কোনো মুসলিমবিরোধী প্রচারণা ঠাঁই পাবে না, ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মাদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাওলানা ওমর মাতুব্বরের পরিচালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বায়তুলমান সম্পাদক মুহাম্মাদ জসিম উদ্দিন, প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রহমান সজিব, অফিস সম্পাদক মুহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম পাপন, সমাজ কল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মজলিসে আমেলা সদস্য মোঃ রাশেদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম লিটন, মাওলানা রায়হান মাহমুদ, মুগদা থানা সভাপতি মাওলানা মাহমূদ হাসান, শাহবাগ থানা সভাপতি জাকির হুসেন, কামরাঙ্গীর থানা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ওয়ারি থানা সভাপতি মাওলানা আল আমিন, হাতিরঝিল থানা সভাপতি জসীমউদ্দীন ও লালবাগ থানার সভাপতি মাসুদুর রহমান প্রমুখ।