খান গ্রুপ অব কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন৷ কোটি কোটি টাকার মালিক ছিলেন। বউ মাইলস্টোন কলেজের বাংলা মিডিয়াম এর টিচার। দুই কন্যা সন্তান আছে।
আজ পরিবার-পরিজন সব হারিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ে আছেন। ভেবেছিলাম হয়তো হারায়ে গেছে। অনেক কষ্টে পরিবার খুঁজে বের করেছিলাম এক বুক আশা নিয়ে। কিন্তু খুঁজে পেয়ে আরো কষ্ট হচ্ছে, কেন খুঁজতে গেলাম। তারা জানায়ে দিলো তারা কোন দায়িত্ব নিতে পারবে না।
ব্রেন স্ট্রোক করে প্যারালাইসড হওয়ার পর তার বউ তাকে ডিভোর্স দিয়েছে দেড় বছর আগে৷ মেয়ে মাইলস্টোনে পড়ে। আমাকে রিকোয়েস্ট করলো ওনার ক্যারিয়ার নষ্ট হবে এগুলো জানাজানি হলে। ওদের পক্ষে বাবার কাছে আসা সম্ভব না। ভদ্র লোক এর ভাই বোন ইন্ডিয়া থাকে৷ তাদের খুজে পাইনি।
হসপিটাল থেকে ডাক্তার বললো পুরোপুরি সুস্থ হওয়া আর সম্ভব না। একভাবে শুয়ে থাকতে থাকতে শরীরের একপাশে পচন ধরে গেছে। যতটুকু সুস্থ করা যায় চিকিৎসা চলছে ফরিদপুর মেডিকেলের সার্জারি বিভাগে। এরপর বেঁচে থাকলে ফরিদপুর বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে দেওয়া হবে।
জীবন বড় অদ্ভুত, বড়ই নিষ্ঠুর। কার লাগিয়া করছো তুমি এত আয়োজন।
লেখক: রুহুল আমিন,ফরিদপুর থেকে: