বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০১:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন পরিবহন চালক ও কর্মচারী ইউনিয়ন স্বঘোষিত সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ মোস্তাজাবুল হক ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই দীর্ঘদিন যাবত চাকরি করছেন গাড়ি চালক পদে । চোরাই মালামাল উদ্ধার সহ একজন গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ এলডিসি থেকে উত্তরণ বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণে জোর দিতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান। সিটিটিসিতে সাইবার ডিজিটাল এভিডেন্স সংক্রান্ত দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের ঢাকা জেলা ডিবি (উত্তর) অফিস বার্ষিক পরিদর্শন। নবাবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শিশু লাবিব (৮) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মুল আসামি গ্রেফতার । সেনা- সদরে ক্যাপস্টোন ২০২৫/০২ কোর্সের পরিদর্শন আশুলিয়া থেকে মরদেহ পৌঁছে দিলো গ্রামে, মানবিক সহায়তায় লাব্বাইক সেচ্ছাসেবক সংগঠন। “কেউ কারো নয়”

সাইকেলে সবজির ফেরিওয়ালা এখন চমৎকার এক গাড়ির মালিক।

Coder Boss
                                             
  •   Update Time : মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ১২k Time View  
  •                                      
                                   
                               

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগে যিনি সাইকেলের ক্যারিয়ারে সবজির ঝুড়ি বসিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরতেন, এখন তিনি এই সবজির গাড়ি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘোরেন।

ক্রেতারা তার গাড়িটি দেখলেই ছুটে আসে। এই গাড়িটি এখন শুধুই সবজি-ভ্যান নয়, এটা ক্রেতাদের আকর্ষণ ও আস্থার প্রতীক।

গাড়িটির মালিক আবু মুসা। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী। ক্লাসে নিয়মিত ফার্স্ট হতেন।

সংসারে তীব্র অভাব ছিল, তারপরও চালিয়ে গেছেন পড়াশোনা। সম্পন্ন করেছেন স্নাতক। মাদরাসায় প্রায় পাঁচ বছরের মতো শিক্ষকতাও করেছেন।

কিন্তু মাদরাসা থেকে ঠিকমতো বেতন পেতেন না। ওদিকে সংসারের ভার তার শীর্ণ কাঁধে।

অবশেষে নিরুপায় আবু মুসা সবজি বিক্রেতে হয়ে ওঠেন। প্রতিদিন ভোরে ৩০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে মৈতলা কাঁচাবাজারে যান। সেখান থেকে সবজি কিনে এনে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করেন। সাইকেলই তার ভ্রাম্যমান দোকান।

সন্ধ্যার পর যখন বাড়ি ফেরেন, ক্ষুধা ও ক্লান্তিতে বিপর্যস্ত তার শরীর।

প্রতিদিন এত কষ্ট করেন অথচ লাভ হয় ৩০০ টাকার মতো। অমানুষিক পরিশ্রমে আবু মুসার শরীর যখন ভেঙে পড়ার উপক্রম, তখনই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের দক্ষতাভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্পের সন্ধান পান তিনি।

একটি সবজি ভ্যানের জন্য তিনি আবেদন করেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর গৃহীত হয় তার আবেদন।

১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় তাকে আকর্ষণীয় সবজি ভ্যান-সহ যাবতীয় উপকরণ কিনে দেয়া হয়।

গাড়িটি পাওয়ার পর আবু মুসার জীবন হয়েছে সহজ ও স্বস্তিকর। প্রতিদিন আয় করছেন ৫০০ টাকার মতো।

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর গ্রামে আবু মুসার বাড়ি।

আবু মুসা শুধু একজন সবজি বিক্রেতা নন তিনি একজন জীবনযোদ্ধা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 dailydhakabani
themesba-lates1749691102