
মোঃ জুয়েল রানা, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:
স্ত্রীর বড় বোন শেফালী আক্তারের স্বামী বিদেশে থাকেন। এ সুযোগে তার সঙ্গে পর’কী’য়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন বোন জামাই বিল্লাল পাঠান। একপর্যায়ে পরকীয়া নাগর বিল্লাল অ’নৈ’তিক কাজ করার জন্য চলে যায় জেঠাস শেফালীর বাড়ি। খালি বাড়ি পেয়ে একে অপরের সাথে অন্ত’র’ঙ্গ অবস্থায় জড়িয়ে পরে। তাদের এই অবস্থা পাশের ঘরের দেবরের ছেলে ৭ বছরের শিশু আরিয়ান দেখে ফেলে এবং ‘কইয়া দিমু’ বললে তার এ কথা শুনে আত’ঙ্কি’ত হয়ে শিশু আরিয়ানের গলা ও মুখ চেপে ধরেন পর’কী’য়া নাগর বিল্লাল এবং সে যেনো এ কথা কাউকে জানাতে না পারে, তাকে হ’ত্যা’র পরিকল্পনা করেন শেফালী পরকী’য়া নাগর বোন জামাই বিল্লাল পাঠান। পরে শেফালী তার আলমারির ওপর থেকে ছু’রি এনে দিলে বিল্লাল আরিয়ানের বুকের দুই পাশে তিন থেকে চারটি গভীর ছু’রিকা’ঘা’ত করেন এবং শিশু আরিয়ানের মৃ’ত্যু নিশ্চিত করে বিল্লাল ও শেফালী ঘরে থাকা একটি প্লাস্টিকের বস্তায় লা’শ ঢুকিয়ে খাটের নিচে রেখে দেয়। পরে রাত ১২টার পর বাড়ির পাশে বালুর মাঠে কাশবনের ঝোঁপের মধ্যে বস্তাবন্দি লা’শ ফেলে দেয়। লা/শের যেন পরিচয় পাওয়া না যায়, এজন্য বিল্লাল লা’শের ওপর এক ধরনের কেমিক্যাল ঢেলে যায়। যার কারণে আরিয়ানের চেহারা বিকৃত হতে শুরু করেছিল। এই অবস্থা ঘটনার তিনদিন পর এলাকাবাসীর সহযোগীতায় পুলিশ শিশু আরিয়ানের লা’শ উদ্ধার করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় হ’ত্যা’কা’ণ্ডে’র সাথে জড়িত চাচি শেফালী ও বিল্লালকে গ্রে’ফ’তার করে পুলিশ। আদালত বিল্লাল স্বীকারোক্তি দেয়। তারপর থেকে বিচার কার্যক্রম শুরু হয় এবং স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে বুধবার (২০ আগষ্ট) দুপুরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী যুবক বিল্লালকে ফা’সি ও চাচি শেফালীকে যাবজ্জীবন এবং উভয়কে অর্থদ’ণ্ড রায় দেন। ঘটনাটি ঘটেছিলো কুমিল্লা তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি গ্রামে। ২০২৩ সালের ১৬ আগষ্ট।