
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাভারের আশুলিয়ায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ওজিফা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং নামের একটি কারখানার জমি জবর দখলের পায়তারা করে আসছিলো এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে শামীম দেওয়ান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এরই জের ধরে কারখানায় হামলা-ভাংচুর চালিয়েছে শামীম দেওয়ান ও তার লোকজন।
বুধবার সকালে এবিষয়ে মামলা করেন কারখানাটির মালিক জালাল উদ্দীন। এরআগে শনিবার দুপুরে আশুলিয়ার আড়াগাঁও এলাকায় কারখানাটিতে ভাংচুর ও হামলা চালায় তারা।
অভিযুক্ত শামীম দেওয়ান ঢাকা জেলার আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার বিএনপি নেতা জাকির দেওয়ানের ছেলে।
ভুক্তভোগী জালাল উদ্দীন বলেন, আমি ওই এলাকায় জমি কিনে কারখানা স্থাপন করি। এরপর থেকে স্থানীয় শামীম দেওয়ান আমার ফ্যাক্টুরী জবর দখল করার পায়তারা করে আসছিলো। এরই জের ধরে ১৭ই আগষ্ট দুপুর ১২টার দিকে শ্রমিকরা কাজ করছিলো, এসময় শামীম দেওয়ান ২০/২৫ লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে-সজ্জিত হয়ে আমার ফ্যাক্টুরীরতে ঢোকার জন্য প্রথমে প্রধান ফটক ভেঙে ফেলে। পরে সিসি ক্যামেরা ও ডিভাইস ভেঙে ফেলে। এরপরে জানালা, অফিস, সেড ভাংচুর করে এবং ভাংগা মুল ফটক ট্রাকে করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। অন্যদিকে শ্রমিকদের মোবাইল ও অফিসের ১টি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। ফ্যাক্টুরীর কর্মচারী ফোরকান ও রাসেল বাঁধা দিলে শামীম দেওয়ান ও তার লোকজন তাদেরকে মারধর করে। কারখানা হচ্ছে দেশের সম্পদ, এখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। আর সেই সম্পদ জোরপূর্বক দখল নিতে এইভাবে যদি ভাংচুর ও হামলা চালানো হয়, তাহলে কিভাবে এই কারখানা চালাবো তা আমার বোধগম্য নয়। এরপরে কোন উপায় না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এভাবে যাতে করে কেউ দেশের এই সম্পদের উপর হামলা ও ভাংচুর না চালাতে পারে এবং এই ঘটনার সাথে জারা জড়িত রয়েছে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাই।
শ্রমিকরা জানায়, আমরা কাজ করছিলাম এমন সময় শামীম দেওয়ান সহ তার লোকজন গেট ভেংঙে কারখানার ভিতরে ঢুকে, আমাদেরকে বলে চুপ থাকবি, কোন কথা বলবি তাহলে অস্ত্র দিয়ে তোদেরকে জানে মেরে ফেলবো। আমরা ভয়ে কোন কথা বলি নাই। এসময়ে কারখানার মেশিনারি ভাংচুর করতে থাকে, এসময় আমাদের দুই শ্রমিক বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করে এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এঘটনার পর থেকে আমরা আতংকে আছি।
পরে এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শামীম দেওয়ানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেন নি।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ সাপেক্ষে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং মামলা তদন্তধীন আছে।