উত্তম কুমার,বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় এক সহকারি পুলিশ সুপারের বাড়িতে হামলা,ভাংচুরের সময়ে স্থানীয় লোকজন ধরে উত্তম -মাধ্যম দিয়ে পুলিশে শোপর্দ করেছে কাবিল মৃধা(৩৪) নামের ইউনিয়ন যুবলীগের এক দুষ্কৃতিকারী কে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নওমালা ইউনিয়নের নিজবটকাজল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক কাবিল মৃধা মৃত রুস্তুম আলী মৃধার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার,চাঁদাবাজিসহ ৬টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সে নওমালা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। এ ঘটনায় সহকারি পুলিশ সুপারের বাবা আব্দুল মোতালেব চৌকিদার বাদি হয়ে বাউফল থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ তাকে পটুয়াখালী আদালতে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
জানাগেছে, কাবিল মৃধা সহকারি পুলিশ সুপারের বাবা আব্দুল মতলেব চৌকিদারের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে আব্দুল মতলেব চৌকিদারের বড় ছেলে মহিউদ্দিন কে ভাঙ্গাব্রীজ দেখে ডেকে নিয়ে দাবীকৃত টাকা চায়। এ সময় মহিউদ্দিন তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে সন্ধায় বাড়ি যাবো টাকা রেডি রাখবি বলে হুমকী দেয় ল্যাংঠা কাবিল মৃধা। পরে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ভাংচুর করে।
এসময় মতলেব চৌকিদার ও তাঁর ছেলে মহিউদ্দিনের আত্মচিৎকারে লোকজন দৌড়ে এলে তাকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। বাউফল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ২ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন আব্দুল মোতালেব চৌকিদার।
এ বিষয়ে আব্দুল মতলেব চৌকিদার জানান,সে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত নানা অসামাজি অপরাধের সাথে জড়িত। আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে ঘরে ঘরে গিয়ে হামলা, ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন,সে নওমালা ইউনিয়নের যুবলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার, চাঁদাবাজিসহ ৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তাকে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মালায় গ্রেফতার দেখিয়ে পটুয়াখালী জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা: এ্যাড. এনামুল হক এনাম সম্পাদক : মোঃ শামীম আহমেদ অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লি. এর পক্ষে কেএম সবুজ কর্তৃক প্রকাশিত। মোবাইল নং : ০১৭১৫-৬২৭৮৯৪ , ০১৭৮৪-৮৩৮৬৮০ ই-মেইল: news@dhakabani.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ