
নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরৎ আসলেই বাংলার আকাশে মেঘের খেলা শুরু হয়। নীলিমার বুক চিরে ভেসে বেড়ায় তুলোর মতো সাদা মেঘ, বাতাসে ভেসে আসে শিউলির গন্ধ। শিউলি ফুলের গন্ধ, কাশবনের দোলা আর আকাশে সাদা মেঘ সবই জানান দেয় দেবী মা দুর্গার আগমন খুব সন্নিকটেই। এই দুর্গা পূজোকে কেন্দ্র করে সাভার ও আশুলিয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কুমার শিল্পীরা। দিনরাত প্রতিমা তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কুমার শিল্পীরা এই শিল্পে তাদের কারিগরি জ্ঞান ও হাতের নৈপুণ্যের মাধ্যমে কুমার শিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোয়ায় বাঁশ কাঠ, খড় আর কাঁদা মাটি দিয়ে চলছে প্রতিমা তৈরীর প্রাথমিক কাজ। প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন মন্ডপে মন্ডেপে গিয়ে রং তুলির আচে তাদের নিপুণ ছোয়ার সৌন্দর্য ফুঁটিয়ে তুলবেন তারা। তবে কারিগররা বলছেন, গত বছরের তুলনায় চাহিদা ভালো থাকলেও প্রতিমা তৈরীর উপকরণের দাম বেড়েছে কিন্তু সেই অনুযায়ী দাম মিলছে না।
বাশ, কাঠ, খড়, আর কাঁদা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ এর দিকে আর এই কাজে দিন রাত ব্যাস্ত সময় পার করছেন সাভার ও আশুলিয়ার প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পুজাকে ঘিরে পুরো উপজেলায় চলছে নানা প্রস্তুতি। প্রতিমা শিল্পীরা বলছেন প্রাথমিক কাজ শেষ করে প্রতিমাকে দেওয়া হবে রং তুলির আচ, এরপর প্রতিমা গুলোকে বিভিন্ন অলংকারের সাজে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রস্তুত করা হবে। সময় যতোই ঘনিয়ে আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ততই বাড়ছে উৎসবের আনন্দের আমেজ দেবীর আরাধনার প্রহর গুণছেন ভক্তরা। গত বছরের তুলনায় প্রতিমার চাহিদা ভালো, তবে পরিশ্রম অনুযায়ী ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ প্রতিমা শিল্পীদের।
প্রতিমা তৈরীর উপকরণের দাম বেশী হওয়ায় ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বলে এমন অভিযোগ কুমার কারিগরদের। এবছরে আরও বেশী আনন্দ ঘন পরিবেশে পুজো অর্চনা করবেন বলে জানান ভক্তরা।
গতবারের থেক এ বছরের পূজা আরও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন হবে বলে এমনটাই আশাবাদ ব্যাক্ত করেন আশুলিয়া থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী শম্ভু সরকার।
যাতে করে হিন্দু সম্প্রদায় সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে এবছরের পুজো উদযাপন করতে পারেন এজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে বলে জানান, মো: শাহীনুর কবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাভার সার্কেল, ঢাকা জেলা।
এদিকে শারদীয় দুর্গা উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে এই জন্য সাভার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর সরকার।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পূজো মণ্ডপে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে উৎসব পালনে প্রস্তুুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান আয়োজকরা। এই উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী সহ মোট ২১৫ টি পূজো মণ্ডপে দূর্গা পুজো অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নেওয়া হচ্ছে সার্বিক প্রস্তুুতির পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা। এই উৎসবটি ঢাকের তালে তালে শুরু হয়, মহাষষ্ঠী থেকে আগামী ২৮শে সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে দূর্গা পুজো এবং ২ ই অক্টোবর বিজয় দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবছরের দূর্গা উৎসব।