
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে চুরির ঘটনায় নগদ টাকা সহ চোরাইকৃত ১০ ভরি ০৪ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার ও গলিত স্বর্ণের পাত উদ্ধার এবং ০১ জন চোরকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বাদী- সাইফা হায়াত (৩২), পেশায় একজন গৃহিনী। তাঁর স্বামী একজন প্রবাসী। এজাহার নামীয় আসামী- মিজানুর রহমান (৩২), বাদীর স্বামীর আপন ছোটভাই। গত ১১/০৯/২০২৫ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় বাদী তার বর্তমান ঠিকানার ভাড়াবাসার দরজা ও জানালা তালাবদ্ধ করে জরুরি কাজে ঢাকায় যান। পরবর্তীতে গত ১৪/০৯/২০২৫ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় বাদী ঢাকা থেকে তার বর্তমান ঠিকানার ভাড়াবাসায় আসেন এবং বাসার আলমিরা খুলে দেখতে পান যে, আলমিরার ড্রয়ারে রাখা তার ব্যবহৃত স্বর্ণের—০২টি গলার নেকলেস, ওজন-০৩ ভরি, ০২টি গলার চেইন, ওজন-০২ ভরি, ০২টি হাতের ব্রেসলেট, ওজন-১.৫ ভরি, ০৭টি আংটি, ওজন-০৩ ভরি, ১২ জোড়া কানের দুল, ওজন-০৪ ভরি। এছাড়াও বাদীনির মেয়ে সোয়াবা (০৮) এর ব্যবহৃত স্বর্ণের—০১টি চুড়ি ও ০৩টি আংটি, ওজন-০১ ভরি,০২ জোড়া কানের রিং, ওজন-০১ ভরি সহ মোট স্বর্ণের ওজন ১৫.৫ ভরি, যার মূল্য অনুমান ২৩,০০,০০০/- টাকা । এছাড়া নগদ ১৫,০০০/- টাকা এবং ১,৬০০/- (এক হাজার ছয়শত) দিরহাম, যা বাংলাদেশি ৪৯,০০০/- (ঊনপঞ্চাশ হাজার) টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
বাদীনি তার বাসায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে দেখতে পান যে, এজাহার নামীয় আসামী মিজানুর রহমান (৩২) ইং ১২/০৯/২০২৫ তারিখ সকাল ০৭.৪৫ ঘটিকার সময় বাদীর ভাড়াবাসায় প্রবেশ করেন এবং সকাল ০৯.০৪ ঘটিকার সময় বাসা থেকে বের হন। এর মাধ্যমে বাদী বুঝতে পারেন যে আসামী ডুপ্লিকেট চাবি ব্যবহার করে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে উল্লেখিত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করেছেন। এঘটনায় বাদীনি পাঁচলাইশ মডেল থানায় এজাহার মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আল-আমিন খান সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ইং ২২/০৯/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন রহমান নগর বি-ব্লক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামীয় আসামী মিজানুর রহমান (৩২) কে গ্রেফতার করেন। ধৃত আসামীর দেখানো এবং নিজ হাতে উদ্ধার করা মতে মামলার চোরাই যাওয়া স্বর্ণালংকার—০১টি নেকলেস, ০১টি ব্রেসলেট,০১ জোড়া কানের দুল, ০১টি আংটি সহ মোট ওজন ২ ভরি ৪ আনা স্বর্ণালংকারউদ্ধার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতিক্রমে ইং২৩/০৯/২০২৫ তারিখের দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মামলার বিষয়ে ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে আসামীর স্বীকারোক্তি মতে মামলার আইও সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ চান্দগাঁও থানাধীন খাজারোড চিটাগাং টাওয়ার (১১ তলা) ভবনের বাসার আলমিরীর ড্রয়ার থেকে আসামীর দেখানো মতে নগদ ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে, বর্ণিত আসামী কর্তৃক চোরাইকৃত স্বর্ণ বিক্রিত দোকানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এপ্রেক্ষিতে চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকার কাজিরহাটস্থ চট্টল সুন্দরী জুয়েলার্সে ৪ ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের গলিত পাত উদ্ধার করা হয়। আসামীর শ্বশুর বাড়ীর বর্তমান ঠিকানায় অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৫,৫০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা উদ্ধার জব্দ করা হয়। এছাড়াও কোতোয়ালী থানাধীন কে.সি. দে রোডস্থ বিনোদনী মার্কেটের ইকোনমিক জুয়েলারী নামীয় দোকান থেকে ৪ ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের গলিত পাত উদ্ধার করা। উক্ত মামলা সংক্রান্তে সর্বমোট—১০ ভরি ০৪ আনা ওজনের স্বর্ণ ও স্বর্ণের গলিত পাত, নগদ ৬,৭০,০০০/- (ছয় লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পরবর্তীতে ধৃত আসামীকে যথাযথ পুলিশ পাহারায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।