অবৈধ আমদানিকারকদের একটি চক্র বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জনগণকে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগে কান না দিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে স্পষ্টভাবে বলেন— দেশে কারও ব্যবহৃত কোনো মোবাইল ফোন বন্ধ হবে না।তিনি আরও জানান, বিদেশ থেকে আনা মোবাইল সেটও সচল থাকবে। বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।
সম্প্রতি বিটিআরসি অবৈধ মোবাইল আমদানি, চোরাচালান, চুরি ও শুল্ক ফাঁকি রোধে এনইআইআর চালুর ঘোষণা দিয়েছে। বহুদিন ধরে দেশে বৈধভাবে ফোন উৎপাদনকারী বিনিয়োগকারীরা এ উদ্যোগ দাবি করে আসছিলেন। বর্তমানে অ্যাপল ছাড়া প্রায় সব আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডেরই বাংলাদেশে নিজস্ব কারখানা রয়েছে।এনইআইআর ঘোষণার পরপরই অবৈধ আমদানিকারক ও স্মাগলার সিন্ডিকেট বিভিন্ন মার্কেটে বাহিরের লোক দিয়ে বিক্ষোভ, দেশীয় ব্র্যান্ডের শোরুমে হামলা এবং কর্মীদের হুমকি দেওয়ার মতো তৎপরতা চালায়। পাশাপাশি এনইআইআর নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচারও ছড়ানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “বর্তমানে যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন— তা বৈধভাবে কেনা হোক, অবৈধভাবে কেনা হোক বা বিদেশ থেকে আনা হোক— কোনো সেটই বন্ধ হবে না। চলমান ফোন বন্ধ হয়ে যাবে— এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”তিনি আরও বলেন, “১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে অবৈধভাবে দেশে চোরাপথে আনা নতুন হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্কে কাজ করবে না।
তবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের কোনো ফোন বন্ধ হবে না।”এ ছাড়া নিজের ফোনটি বৈধ না অবৈধ— তা শোরুম থেকে একটি এসএমএসের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বিদেশ ভ্রমণে যে কেউ নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত হ্যান্ডসেট সঙ্গে আনতে পারবেন।
উপদেষ্টা: এ্যাড. এনামুল হক এনাম সম্পাদক : মোঃ শামীম আহমেদ অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লি. এর পক্ষে কেএম সবুজ কর্তৃক প্রকাশিত। মোবাইল নং : ০১৭১৫-৬২৭৮৯৪ , ০১৭৮৪-৮৩৮৬৮০ ই-মেইল: news@dhakabani.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ