বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনার স্বর্ণ নিয়ে যে তথ্য দিলেন দুদক মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক
                                             
  •   Update Time : বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৬k Time View  
  •                                      
                                   
                               

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না জব্দ করা হয়েছে। এই লকার দুটি আগ্রণী ব্যাংকে রাখা ছিল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, জব্দ করা স্বর্ণ শুধুমাত্র শেখ হাসিনারই নয়, তার বোন শেখ রেহানা এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে কিছু অংশ রয়েছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) তিনি জানান, ভল্টে থাকা নথি ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে জব্দ করা স্বর্ণালংকারগুলো আলাদাভাবে মার্কিং করা ছিল। যার মাধ্যমে বোঝা যায়, কোন অংশ কার। অনুসন্ধানকারী দলের কর্মকর্তারা বর্তমানে এই স্বর্ণালংকারগুলো আলাদা করছেন এবং প্রতিটি অংশের মালিকানা নির্ধারণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমাদের অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত অংশগুলো আমাদের অনুসন্ধানের আওতায় থাকবে। অন্য অংশগুলো হয়তো অন্য কোনো অনুসন্ধানের অংশ হতে পারে।”

মহাপরিচালক আরও জানান, জব্দকৃত ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকারের মধ্যে শেখ হাসিনার কতটুকু রয়েছে তা নির্ধারণের জন্য বিস্তারিত ইনভেন্ট্রি করা হয়েছে। এরপর এটি তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করা হবে। এই যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বোঝা যাবে কোন অংশ তার, কোন অংশ অন্য পরিবারের সদস্যদের।স্বর্ণালংকার বৈধ কি অবৈধ, সেই বিষয়ে মো. আক্তার হোসেন বলেন, “সম্পদ বিবরণী যাচাই করা হলে বোঝা যাবে স্বর্ণগুলো জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কি না। যদি আয়ের উৎস স্পষ্ট না হয় বা বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না থাকে, তবে তা অবৈধ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।”

শেখ হাসিনার সম্পদ বাজেয়াপ্তের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনার সঙ্গে এই জব্দ কার্যক্রমের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, “আদালতের আলাদা আদেশ রয়েছে। তবে দুদক আইন ও বিধির আলোকে অনুসন্ধান দল তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আদালতের অনুমতি অনুযায়ী প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এই প্রক্রিয়া চলাকালীন দুদক নিশ্চিত করতে চাচ্ছে যে, প্রতিটি জব্দকৃত স্বর্ণালংকারের মালিকানা সঠিকভাবে চিহ্নিত হবে এবং বৈধতার যাচাই সম্পন্ন হবে। এছাড়া, এই অনুসন্ধান কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে পরিচালনার মাধ্যমে সম্পদের উৎস এবং আইনি দিকগুলো স্পষ্ট হবে, যা ভবিষ্যতে যেকোনো আইনি জটিলতার থেকে মুক্তি দেবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 dailydhakabani
themesba-lates1749691102