জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আরব আমিরাতে আটক প্রবাসীদের মধ্য থেকে ১৮৮ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু দেশটির কারাগারে এখনও বন্দি আছেন ২৫ জন। তাদের অচিরেই মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। আসিফ নজরুল লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আমাদের প্রচেষ্টা অবশেষে সাফল্যর মুখ দেখেছে।
আরব আমীরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে বন্দি অবশিষ্ট ২৪ জনকে অচিরেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ধন্যবাদ, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও আমীরাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। এর আগে, গত ৭ আগস্ট সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে আবুধাবীতে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতের বৈঠককালে ২৫ জন বন্দির তালিকাসহ ইতোপূর্বে সব যোগাযোগের তথ্য সম্বলিত হার্ডকপি হস্তান্তর করেন।
দূতাবাস থেকে গৃহীত কার্যক্রমকে আরও ফলপ্রসু ও দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করে বন্দিদের মুক্তির লক্ষ্যে গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সে দেশের মিনিস্টার অব জাস্টিস আবদুল্লাহ বিন সুলতান বিন আওয়াদ আল নোয়ামির কাছে একটি অনুরোধপত্র পাঠান। এরই ধারাবাহিকতাতায় গত ২২ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে ওই ২৫ জনের পাসপোর্ট কপি ও ভিসা নম্বর দূতাবাসের কাছে চাওয়া হয়। দূতাবাস গত ৩০ সেপ্টেম্বর সব তথ্য নোট ভারবাল আকারে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে বিক্ষোভের ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদের বহু প্রবাসীকে কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। এরপর আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বাংলাদেশিদের সাজা মওকুফের অনুরোধ জানান। এতে সাড়া দেয় আমিরাত সরকার। পরে প্রাথমিকভাবে বন্দী ১৮৮ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা: এ্যাড. এনামুল হক এনাম সম্পাদক : মোঃ শামীম আহমেদ অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লি. এর পক্ষে কেএম সবুজ কর্তৃক প্রকাশিত। মোবাইল নং : ০১৭১৫-৬২৭৮৯৪ , ০১৭৮৪-৮৩৮৬৮০ ই-মেইল: news@dhakabani.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ