আশুলিয়ায় নারী শ্রমিককে গালি গালাজ সহ গায়ে পানি ভর্তি বোতল নিক্ষেপ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে করমোপ কোম্পানী লিমিটেড নামের একটি কোরিয়ান কারখানার এমডি মিঃ হোং করিয়ান বস (৫৫) এর বিরুদ্ধে।শনিবার দুপুরে এবিষয়ে ক্যামেরার সামনে এই সব তথ্য দেন ভুক্তভোগী। এরআগে ২ ই নভেম্বর আশুলিয়ার বেলমা এলাকায় কারখানাটিতে এই ঘটনা ঘটে। পরে থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের বিষয়ে জানতে পেরে কারখানার কর্তৃপক্ষ চাকুরীচ্যুত করেছে বলেও ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
ভুক্তভোগী নওসিন আক্তার যুথী
আইডি নং- ৯৭৯ ও ফ্যাক্টরি ১ এ দীর্ঘ ৫ বছর ধরে কিউসি পদে চাকরী করে আসছে।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন,
আমি কারখানায় দীর্ঘ ৫ বছর ধরে কিউসি পদে কাজ করে আসছি। গত ২ই নভেম্বর সকালের দিকে ফ্যাক্টুরীতে আগের দিনের ন্যায় আমার নির্ধারিত জায়গায় কাজ করছিলাম।

এমন সময়ে কারখানার এমডি মিঃ হোং কোরিয়ান বস (৫৫) এসে অন্য শ্রমিক কাজে ভূল করায় তার দোষ আমার উপর চাপিয়ে দিয়ে গালিগালাজ করাসহ ধকম দিতে থাকে এবং ওই কারখানায় আইটি সেকশনে কর্মরত এরশাদ আলী দেওয়ানকেও গালিগালাজ করে। তখন অফিসের ফাইলপত্র এদিক-সেদিক ছুড়ে মারতে থাকে। একপর্যায়ে মি: হোং আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে পানি ভর্তি দেড় লিটারের একটি বোতল আমার গায়ে ছুড়ে মারে। এতে আমি প্রচন্ড আঘাত পাই। পরে ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে কান্নাকাটি করি। এরআগেও কোরিয়ান মি: হোং সে শ্রমিকদের সাথে এ রকম আচরণ আরও করেছে, চাকরী হারানোর ভয়ে কেউ এর কোন প্রতিবাদ করতে পারে নাই। আমি কোন উপায় না পেয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ করার বিষয় জানতে পেরে আমাকে অফিস থেকে বের করে দিয়েছে। সেই সাথে এরশাদ দেওয়ান আমার সাপোর্ট দেওয়ায় তাকেও কারখানা থেকে বের করে দেয়। সেই সাথে আমি কোথাও কোন চাকরী করতে পারবো না বলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। আমি যাতে এর সুষ্ঠু বিচার পেতে পারি এজন্য প্রশাসন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কারখানার এমডি মিঃ হোং করিয়ান এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে তার দোভাষী মন্টী এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাজে ভুল করায় স্যার রাগ মূহুর্তে ছিলেন, এসময়ে যুথী স্যারের সামনে আসলে, স্যারের হাতে লেগে বোতল নিচে পরে যায়। বোতল তো তার শরীরে লাগেনি।এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, তখন কোন ভিডিও ফুটেজ পাইনি। পরে ফুটেজ পেয়ে প্রমাণিত হয়েছে তবে অফিসের ফুটেজ দেখে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা: এ্যাড. এনামুল হক এনাম সম্পাদক : মোঃ শামীম আহমেদ অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লি. এর পক্ষে কেএম সবুজ কর্তৃক প্রকাশিত। মোবাইল নং : ০১৭১৫-৬২৭৮৯৪ , ০১৭৮৪-৮৩৮৬৮০ ই-মেইল: news@dhakabani.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ