
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে ইয়াকুব আলী ও আশিকুর রহমান নামে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বরম সিদ্ধিপুর এলাকায় উৎমা সীমান্ত এলাকার সীমান্তের ওপারে ইয়াকুব গুলিবিদ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে দমদমীয়া সীমান্ত এলাকার ভারতের অভ্যন্তরে আশিকুর গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।নিহত ইয়াকুব আলী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বরম সিদ্ধিপুর গ্রামের আজমল আলীর ছেলে। আশিকুর রহমান উপজেলার তুরুং গ্রামের বুরহান উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির উৎমা বিওপি ও ভারতের ২/ টোকা বিএসএফ ক্যাম্পের সীমান্ত পিলার ১২৫৫/২ এস ভারতের এক থেকে দেড় কিলোমিটার অভ্যন্তরে একটি সুপারি বাগানে ইয়াকুব আলীসহ দুজন বাংলাদেশি প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় খাসিয়া নাগরিকরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় ইয়াকুব আলীর বুকে গুলি লাগে। গুরুতর আহত হলে বাংলাদেশিরা উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দমদমীয়া সীমান্ত এলাকার তুরং গ্রামের আশিকুর রহমান ভারতের অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। দমদমীয়া সীমান্তের পিলার ১২৬০/২ এস এক কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে পরিহাট এলাকায় সুপারি বাগানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরে আশিকুরের মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবির) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক কালবেলাকে বলেন, সীমান্তে পৃথক স্থানে ও পৃথক সময়ে ভারতের অভ্যন্তরে সুপারি আনতে গিয়ে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে আশিকুর ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। ইয়াকুব গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান বন্ধে টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।