
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের ঐতিহাসিক ভাষণ ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’-এর উক্তি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান’। দেশ পুনর্গঠন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সুস্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের প্রতিটি মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই একসঙ্গে এগিয়ে এলে তবেই কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৫৭ মিনিটে রাজধানীর পূর্বাচলে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশ’, যা উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে এ দেশের মানুষ যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তেমনি ২০২৪ সালেও দেশের সর্বস্তরের মানুষ এক হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ আবারও কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়, নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা চায় এবং গণতন্ত্রের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হলে কেবল রাজনৈতিক দল নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তরুণ সমাজ, শ্রমজীবী মানুষ, কৃষক, পেশাজীবী—সবাইকে সঙ্গে নিয়েই দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়িবহর রাজধানীর পূর্বাচলের গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছায়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাল-সবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে তিনি সরাসরি অনুষ্ঠানে আসেন। পথে পথে নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানায়।
মঞ্চে ওঠার পর তারেক রহমান উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় মঞ্চে তার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঞ্চে তারেক রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান।
সমাবেশস্থলে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ, স্লোগান ও করতালিতে বারবার মুখরিত হয়ে ওঠে গণসংবর্ধনাস্থল।