নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমান সুযোগ নিশ্চিত করা সহ ৭ দফা দাবিতে দলটি ‘জাতীয় সমাবেশ’ করছে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথম বারের মতো সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশ ঘিরে ইতি মধ্যে নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায়। গতকাল রাত থেকেই সমাবেশস্থলে অবস্থান নেন নেতা-কর্মীরা। ফজরের পর কার্যত পূর্ণ হয়ে যায় সভাস্থল।
এদিন সকাল থেকেই রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হতে থাকেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। কেউ আসেন বাসে, কেউবা হেঁটে। ঢাকা ও আশ পাশের এলাকা থেকে দলে দলে লোক জনের আগমন ঘটে। ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে আসেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
এর আগে সারা দেশ থেকে লঞ্চ, ট্রেন ও বাসে করে রাজধানীতে আসেন নেতা-কর্মীরা। ইতিহাসে প্রথম বারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ করছে জামায়াত। এর আগে জামায়াত কখনো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলীয় ভাবে সমাবেশ করতে পারেননি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দিতে দিতে মঞ্চেই ঢলে পড়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান। বিকেলে মঞ্চে বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণ পড়েই প্রথমবার ঢলে পড়েন তিনি। পরে দ্রুত নেতাকর্মীরা তাকে সামলে নিলে আবারও উঠে বক্তব্য অব্যাহত রাখেন তিনি। তবেজ এরপর আবারও দ্বিতীয়বারের মতো পড়ে যান জামায়াত আমির। বর্তমানে মঞ্চে বসে থাকা অবস্থায় বক্তব্য দিয়ে যান তিনি।
এসময় সারজিস আলম বলেন আমাদের নতুন সংবিধান লাগবে। গণপরিষদ নির্বাচন লাগবে। নারীদের অধিকার ও সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে যোগ দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশ থেকে মুজিববাদীদের ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। গোপালগঞ্জে মুজিববাদিদের আস্তানা গড়ে উঠেছে। মুজিববাদের সদস্যরা এখনও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় রয়েছে। এই মুজিববাদ একটি আদর্শ। শুধু আইনীভাবেই মুজিববাদের মোকাবিলা করা যাবে না। আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবেভাবে সাংস্কৃতিকভাবেই মুজিববাদের কোমর ভেঙে দিতে হবে।
এসময় আরও অনেক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। এবং অনুষ্ঠান শেষে শান্তি পুর্ন ভাবে যার যার মতো যার যার গন্তব্য স্হলে চলে যাই কেউ পায়ে হেটে, কেউ পরিবহনে, কেউ রিকশা, ভ্যানে,মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন ভাবে চলে যায়।