
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর সেনানিবাসে ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কোর্স–২০২৫ এর গ্র্যাজুয়েশন সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মত প্রকাশ করেন।এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৪টি দেশের তরুণ সামরিক কর্মকর্তাদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ বছরের কোর্সে চীন, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের মোট ৩১১ জন অফিসার অংশগ্রহণ করেন।নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশবাসীর প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনকে সত্যিকারের শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তা আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করছি।’তিনি জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকাকেও প্রশংসা করেন। তাঁর ভাষায়, ‘সঠিক সময়ে সেনাবাহিনী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ কারণে তাদের ভূমিকার প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই।’
অনুষ্ঠানে কোর্সে অংশ নেওয়া অফিসাররা জানান, অর্জিত জ্ঞান ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদের মতে, জাতীয় যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে এই প্রশিক্ষণ কার্যকর সমাধান দিতে সহায়তা করবে।একজন বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারী অফিসার বলেন, ‘ডিএসসিএসসি–তে আমরা নেতৃত্ব, কৌশল ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা দেশের ভেতরে ও বাইরে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের আরও প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে জাতীয় কোনো সংকটে আমরা এই জ্ঞান প্রয়োগ করতে পারব।’
চীন থেকে আসা একজন অফিসার বলেন, ‘বাংলাদেশের এই সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলছে। বিভিন্ন দেশের সহকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করেছে। ভবিষ্যতে এই অভিজ্ঞতা আমাদের নিজ নিজ দেশের নিরাপত্তায় কাজে লাগবে।’বাংলাদেশি আরেক অফিসার প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘আমরা যারা এই কোর্স শেষ করেছি, তারা দেশ রক্ষায় এবং প্রয়োজনে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে—যেমন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া—আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’