
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতের পর অথবা আগামীকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শেই তাকে যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।এদিকে খালেদা জিয়াকে বহন করার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সম্মতি জানিয়েছে কাতার।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে দোহা থেকে বিএনপিকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিএনপি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আলোচনা করেছে এবং সেখান থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।গত ২৯ নভেম্বর কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরাইয়া আলী আল কাহতানির কাছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা চেয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চিঠিতে খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে ১৪ জনের নামও পাঠানো হয়।
যাত্রাসঙ্গীদের তালিকায় রয়েছেন পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান এবং চিকিৎসক দল—আবু জাফর মো. জাহিদ হোসেন, মোহাম্মদ আনামুল হক চৌধুরী, ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, মো. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, নূরুদ্দিন আহমদ, মো. জাফর ইকবাল ও মোহাম্মদ আল মামুন। নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকবেন হাসান শহরিয়ার ইকবাল ও সৈয়দ সামিম মাহফুজ। এছাড়া রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী মো. আবদুল হাই মল্লিক, সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রূপা সিকদার।
২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে খালেদা জিয়াকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এসডিইউ থেকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ডা. রিচার্ড বিল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় পৌঁছান। একই রাতে চীন থেকে চার সদস্যের একটি মেডিকেল টিমও এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে যোগ দেয়।