
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি শোকবার্তা ও দাবিভিত্তিক সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তিনি মারা গেছেন—এ মর্মে বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করা হয়। দাবি অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানানো হয়েছে এবং পোস্টে “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” উল্লেখ করা হয়।
এর আগে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছিলেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ২টার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ‘অত্যন্ত একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছেন’। তিনি জানান, সেদিন সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং চিকিৎসকদের মূল্যায়ন অনুযায়ী তার অবস্থা ছিল গুরুতর।
দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়া হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন বলে তার চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। এসব জটিলতার কারণে তাকে নিয়মিত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছিল এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি পরিবর্তন করা হচ্ছিল।
গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করে আসছিল। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগের কথাও আলোচনায় আসে। তবে চিকিৎসকদের মতে, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল না থাকায় এবং ভ্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে বিদেশে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে যে তথ্য ও দাবি প্রচারিত হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।