মোঃ শামীম আহমেদ:
তীব্র গরম ধীরে ধীরে বাড়ছে, আর সূর্য তার গ্রীষ্মকালীন তাপপ্রবাহের জন্য প্রস্তুত। আর প্রচন্ড গরমে জনজীবনে যখন নাভিশ্বাস তখন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘার মতো যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত লোডশেডিং। অতিষ্ঠ সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইয়ের মানুষ। জ্বালানি সংকটে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় কোনো কোনো অঞ্চলে দৈনিক চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা আবার কোথাও-বা আট থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকছে না বিদ্যুৎ। ব্যাহত হচ্ছে লেখাপড়া, ব্যবসা, চিকিৎসা সহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র গরমে অতিরিক্ত লোডশেডিং এর কারনে মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
সাভার ও আশুলিয়া,ধামরাই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় একটু স্বস্তির খোঁজে মধ্যরাতেও অনেককে দেখা গেছে ঘরের বাইরে। অনেকে সারবেঁধে ফুটপাতে বসে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন। কেউ আবার খালি গায়ে, গামছা গলায় বিদ্যুতের অপেক্ষায়। কেউ বা ছাঁদের উপড়ে কেউ বা গাছের নিচে।
শনিবার (২৬শে এপ্রিল) ও রবিবার (২৭শে এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আশুলিয়ার শিল্প-কলকারখানা, দোকানপাট ও ঘরবাড়িতে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র গরম, পানিশূন্যতা, উৎপাদন বন্ধে হয়ে আর্থিক ক্ষতি, অসুস্থতার হার বৃ্দ্ধি সহ ভোগান্তিতে আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই বাসী।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে তিন থেকে ৪ বার কারেন্ট চলে যায়। তিনবারে ৮/৯ ঘণ্টা কারেন্ট থাকে না। আবার গভীর রাতে ও ২/৩ ঘন্টা কারেন্ট থাকে না। এ সময় ঘরে থাকা যায় না, ঘুমানো যায় না। রাত ২টা-৩টা পর্যন্ত না ঘুমিয়ে বাইরে বসে থাকতে হয়। বিদ্যুতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাসায় গ্যাস-পানিও থাকে না। পানির সংকটে মানুষ অনেক কষ্ট করে।৭দিনে আবারও কোনদিন সারাদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।
বিশেষ করে আশুলিয়ার বাইপাইল, বগাবাড়ী, ইউনিক,জামগড়া, ছয়তলা, সরকার মার্কেট,নরসিংহপুর, মানিকগঞ্জ পাড়া, ঘোষবাগ,ঘোরাট,জিরাবো,বাগানবাড়ী বাগানবাড়ী, বেশি লোডশেডিং হয়।
প্রচণ্ড গরমে ঘনঘন বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান তারা। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মূলত ডলার সংকটে গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেল আমদানি বিঘ্নিত হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে মাস দুয়েক সময় লাগবে। গ্রাহকরা বলেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০/১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা তবুও বিল কম আসেনা বিল আরও বেশি আছে। সরকারের সু দৃষ্টি আকর্ষণ করছে গ্রাহকরা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘বিদ্যুতের সরবরাহ তুলনা মূলক ভাবে স্বাভাবিক রাখতে হলে আমাদের তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোর ওপর বেশি নির্ভর করতে হবে, যদিও এগুলোর উৎপাদন খরচ বেশি। এটিই আমাদের আপস।’ তবে সম্ভবত সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটা দৃষ্টি ভঙ্গিতে।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘এবার লোডশেডিং শহর ও গ্রামের মধ্যে সুষমভাবে ভাগ করা হবে। আমরা রাজধানীকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি প্রত্যাখ্যান করেছি।