
দলীয় শৃঙ্খলা ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অমান্য করার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ছয়জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহ আলম, হাসান মামুন, আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তরুণ দে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ (চাক্কু মামুন) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কিবরিয়া মেহেদী হাসান পলাশকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কৃত নেতারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিলেন, যা দলের গঠনতন্ত্র ও সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। এ কারণে তাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। দলীয় নীতি, আদর্শ ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলার প্রশ্নে বিএনপি কোনো ধরনের আপস করবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। একাধিকবার সতর্ক করার পরও তারা দলীয় নির্দেশনা মেনে না চলায় শেষ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ও সিদ্ধান্ত মেনে চলাই রাজনৈতিক সংগঠনের শক্তির মূল ভিত্তি। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটালে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে দল বাধ্য হবে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলীয় পুনর্গঠনের প্রেক্ষাপটে বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে শৃঙ্খলা জোরদারের অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।