
নির্ভিক সাহস, শৌর্য এবং অটল শৃঙ্খলায় গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়েই বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর আনুষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপিত হয়। তাই স্বাধীনতা যুদ্ধের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে এই দিনটি প্রতি বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। অপরিসীম সাহসিকতা ও শৃঙ্খলার প্রতীক এই বাহিনী আজ জাতির গৌরব।
তারেক রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণে সশস্ত্র বাহিনীর বীরোচিত ভূমিকা ইতিহাসে উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে আছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় এই বাহিনীর সদস্যরা আজও অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অবদান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করেছে—এ ধারা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিভিন্ন সংকট মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী ভূমিকা জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান শহীদ জিয়াউর রহমান আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ ও গতিশীল সশস্ত্র বাহিনী গঠনে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তার সময় থেকেই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী একটি পেশাদার, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও আধুনিক বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়। একইভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেও বাহিনীর আরও আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। এ ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তারেক রহমান বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সিপাহী হামিদুর রহমান, রুহুল আমিন, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে তিনি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে তাদের পরিবার-পরিজনের মঙ্গল, শান্তি ও সচ্ছলতা কামনা করেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত প্রার্থনা করেন।