রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

বিএনপিতে যোগ দিলেন রাশেদ খান

ঢাকা বানী ডেস্ক
                                             
  •   Update Time : শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২২k Time View  
  •                                      
                                   
                               

বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রোববার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর এই দলবদল নিয়ে আগেই নানা জল্পনা ছিল; ফলে রাশেদ খানের বিএনপিতে যোগদানের ঘটনাটি অনেকের কাছেই প্রত্যাশিত ছিল।

গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মো. রাশেদ খান ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। তিনি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের রাশেদ খানকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

যোগদান অনুষ্ঠানের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাশেদ খান দৈনিক যুগান্তরকে বলেন, “ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে আমি আগ্রহী। আমার এলাকার জনগণও চায় আমি শহীদ জিয়াউর রহমানের মার্কায় ভোট করি। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই।” তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিশ্বাসকে পুঁজি করে তিনি জনগণের অধিকার আদায়ে কাজ করতে চান।

এর আগে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাশেদ খান। তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি যুগান্তরকে জানান, রাশেদ খান গণঅধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপির সদস্যপদ গ্রহণ করবেন এবং ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন—এ বিষয়ে আগেই সমঝোতা ছিল।

নুরুল হক নুর বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উত্তাল সময়ে বিএনপির নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদসহ প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল ও জোট একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত ছিল। সেই সময় থেকেই রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার বিষয়ে পারস্পরিক আলোচনা ও সমন্বয় চলছিল। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, আন্দোলনটি কার্যত বিএনপির নেতৃত্বেই সংগঠিত হয়েছিল এবং সামগ্রিক সমন্বয়ের দায়িত্বও বিএনপিই পালন করেছে।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী দেড় বছরে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে সবাই একই অবস্থানে থেকে কাজ করেছে। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই নির্বাচনে জয়ের কৌশল হিসেবে রাশেদ খানকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি গণঅধিকার পরিষদের পদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপির সদস্যপদ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। দলটির শূন্য হওয়া সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব খুব শিগগিরই নতুন কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দেওয়া হবে বলেও জানান নুর।

এদিকে নুরুল হক নুর নিজেও বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি পটুয়াখালীর গলাচিপা আসন থেকে নির্বাচন করছেন এবং ওই আসনে বিএনপি তাকে সমর্থন দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই দলীয় সমঝোতা ও পারস্পরিক সমর্থন আগামী নির্বাচনের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 dailydhakabani
themesba-lates1749691102