সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
হাদির গুলিবিদ্ধ মস্তিষ্ক ছাড়া অন্য অঙ্গগুলো এখনো ‘নিয়ন্ত্রণযোগ্য’ স্বাধীনতাবিরোধিরা এখন ভোল পাল্টে নতুন দেশ গড়ার ভাব দেখাচ্ছে: মির্জা ফখরুল বাড্ডায় বাসে আগুন সুদানে ইউএন ঘাঁটিতে নিহত শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রটোকল দেবে পুলিশ হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ২ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকের ওপর হামলা-ক্যামেরা ভাঙচুর, আহত ৫ হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি: পালানোর আশঙ্কায় বিশেষ চেকপোস্ট ও টহল জোরদার হাদির হামলাকারীরা ভারতে পালিয়ে গেছেন কিনা তথ্য নেই: ডিএমপি ওসমান হাদিকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি

স্বামীকে বাঁচাতে কিডনি দিলেন স্ত্রী, সুস্থ হয়ে ‘পরকীয়া’ বান্ধবীর সঙ্গে সংসার করছে স্বামী। 

Coder Boss
                                             
  •   Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
  • ২৩২k Time View  
  •                                      
                                   
                               

 

মোঃ রবিউল ইসলাম, সাভার উপজেলা প্রতিনিধি: 

মানবিক ভালোবাসার এক নির্মম প্রতিদান
স্বামীর জীবন বাঁচাতে নিজের কিডনি দিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন স্ত্রী সাভার কলমা এলাকার টুনি আক্তার। কিন্তু সেই ভালোবাসার দাম দিতে হয়েছে অপমান ও বঞ্চনার মাধ্যমে।

ঢাকার সাভারের বাসিন্দা টুনি আক্তার ও তারেক হোসেনের সংসার শুরু হয়েছিল স্বপ্নে ভর করে। জীবনের কঠিন এক পর্যায়ে, কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হন তারেক। মৃত্যুর মুখ থেকে স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে নিজের একটি কিডনি দান করেন স্ত্রী টুনি। সফল অপারেশনের পর সুস্থ হন তারেক।

তবে ঘটনার মোড় ঘুরে যায় কিডনি প্রতিস্থাপনের কিছুদিন পরই। অভিযোগ উঠেছে, সুস্থ হওয়ার পরপরই তারেক স্ত্রী টুনিকে বাসা থেকে বের করে দেন এবং গোপনে সম্পর্ক চালিয়ে আসা তার “পরকীয়া” বান্ধবীর সঙ্গে নতুন করে সংসার শুরু করেন।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এই ঘটনাকে ‘মানবতার চরম অবমাননা’ হিসেবে দেখছেন।

এসময়  টুনি বলেন:

আমি ওর জন্য জীবন বাজি রেখে কিডনি দিয়েছিলাম। অথচ ও আমাকে ঠকিয়ে এখন অন্য মেয়ের সঙ্গে সংসার করছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।

এই ঘটনায় স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা আইনি সহায়তা ও মানসিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। টুনি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন থানায় অভিযোগ সহ কোটে মামলা করেছেন। টুনি আইনের আওতায় এনে অপরাধী স্বামী কঠিন বিচারের দাবি জানান।

প্রশ্ন উঠেছে এলাকায় একজন নারীর আত্মত্যাগ কি এভাবেই উপেক্ষিত হবে? ভালোবাসার এই নির্মম পরিণতির বিচার কি সমাজ দিতে পারবে।আইনের কাছে এলাকার লোকজনের চাওয়া এরকম স্বামীর কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। যাতে করে আর কারও যেনো টুনির মতো এরকম না হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 dailydhakabani
themesba-lates1749691102